০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং এরপরে প্রধান উপদেষ্টা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

৫৩ বছর আগে দেশের স্বাধীনতার লালিত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে দখলদার বাহিনী স্থানীয় কুচক্রীদের সহায়তায় উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে একযোগে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ এ দেশের দুই শতাধিক কৃতী সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি ও অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্তও করতে পারেননি।

সেই থেকে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

আপডেট সময়ঃ ০৭:১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং এরপরে প্রধান উপদেষ্টা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

৫৩ বছর আগে দেশের স্বাধীনতার লালিত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে দখলদার বাহিনী স্থানীয় কুচক্রীদের সহায়তায় উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে একযোগে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ এ দেশের দুই শতাধিক কৃতী সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি ও অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্তও করতে পারেননি।

সেই থেকে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন