০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চবিতে মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ হজরত মুহাম্মাদ  সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে কটূক্তি করলে সব মুসলিমের অন্তরে আঘাত লাগবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সানবিম সিফাত ফেসবুকে রাসুলুল্লাহ (স.) কে নিয়ে কটূক্তিসহ ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪  ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, আমাদের সহপাঠী সানবিম সোশ্যাল মিডিয়াতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছে। তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে সে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। আমরা তার বিচার চাই। তাকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সব শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। তাকে বহিষ্কার না করলে আমাদের পুরো ব্যাচকে বহিষ্কার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স.) এর অবমাননাকারী শাতিমের ব্যাপারে কোনো আপস নাই।

আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্বাস অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু, রাসুলুল্লাহ (স.) এর ব্যাপারে অবমাননাকর কোনো মন্তব্য করার কোনো অধিকার কারো নাই। কেউ এমনটা করলে কোটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। তাদের পক্ষে এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। এসব উজ্জ্বল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। এমন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দমন করতে হবে। অন্যথায় সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসায় আঘাত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এর সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রক্টর অফিসে যান। এ সময় তারা ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান’, ‘শাতিমের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না’, ‘নবি অবমাননাকারীকে বহিষ্কার করো, করতে হবে’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে এ সময় ‘Defending the honor of the Prophet (Sm) is our duty’, ‘যে ক্যাম্পাস মহানবী (স.) এর সম্মান রক্ষা করতে পারে না, সে ক্যাম্পাস সঠিক শিক্ষাও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।’, ‘We stand united against any insult to our beloved Prophet (Sm)’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
NEWS UP/S21.M
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চবিতে মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ হজরত মুহাম্মাদ  সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে কটূক্তি করলে সব মুসলিমের অন্তরে আঘাত লাগবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সানবিম সিফাত ফেসবুকে রাসুলুল্লাহ (স.) কে নিয়ে কটূক্তিসহ ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪  ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, আমাদের সহপাঠী সানবিম সোশ্যাল মিডিয়াতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছে। তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে সে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। আমরা তার বিচার চাই। তাকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সব শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। তাকে বহিষ্কার না করলে আমাদের পুরো ব্যাচকে বহিষ্কার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স.) এর অবমাননাকারী শাতিমের ব্যাপারে কোনো আপস নাই।

আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্বাস অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু, রাসুলুল্লাহ (স.) এর ব্যাপারে অবমাননাকর কোনো মন্তব্য করার কোনো অধিকার কারো নাই। কেউ এমনটা করলে কোটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। তাদের পক্ষে এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। এসব উজ্জ্বল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। এমন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দমন করতে হবে। অন্যথায় সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসায় আঘাত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এর সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রক্টর অফিসে যান। এ সময় তারা ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান’, ‘শাতিমের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না’, ‘নবি অবমাননাকারীকে বহিষ্কার করো, করতে হবে’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে এ সময় ‘Defending the honor of the Prophet (Sm) is our duty’, ‘যে ক্যাম্পাস মহানবী (স.) এর সম্মান রক্ষা করতে পারে না, সে ক্যাম্পাস সঠিক শিক্ষাও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।’, ‘We stand united against any insult to our beloved Prophet (Sm)’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
NEWS UP/S21.M
নিউজটি শেয়ার করুন