০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর গোঁড়ায় মরণফাঁদ!

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে।

বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের বুক চিরে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত সেতুর গোঁড়া এখন মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। চন্দরপুর-সুনামপুর নামীয় ওই সেতুটি দুই উপজেলার হাজারো মানুষের সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত। এই সেতুটির উপর দিয়ে বিযানীবাজার ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার আরোও দু’টি উপজেলার লোকজন যাতায়াত করেন।

কিন্তু ব্যস্ততম এই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কটির অবস্থা বেহাল। চন্দরপুর অংশের রাস্তাটি ভেঙ্গে ব্লক ও নিচের মাটি চলে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনমতে এসব গর্ত ভরাট করা হলেও চিহ্ন দিয়ে পৃথক করা হয়েছে। যাতে কেউ এই ঝুকিপূর্ণ অংশের উপর দিয়ে চলাচল করতে না পারে। শুধু তাই নয়, এই সেতু ও সড়কের সাইটের পিলারগুলো ও ভেঙে পড়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর মুখের পূর্বদিকের অ্যাপ্রোচ অংশটি একেবারেই ভেঙে হেলে পড়েছে। সেতু থেকে সড়কে যাওয়ার ঢালু অংশটুকু পাড়ি দিতে গিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে যানবাহন এবং চলাচলরত সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয়রা জানান, গত মৌসুমে সৃষ্ট একাধিকবারের বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে রাস্তার পাশের ব্লকগুলো ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া নিচের ভারাটকৃত বালু ও মাটি সরে গিয়ে বিরাটাকারের মরণকূপ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর পশ্চিম দিকের সুনামপুর বাজার অংশেও একই ধরনের ভাঙনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই সংযোগ সড়কটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

স্থানীয় বুধবারীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দীন কামাল বলেন, এই সেতুর অ্যাপ্রোচের দুই অংশ ঠিক রাখতে হলে গভীর নিচ থেকে মজবুত করে প্রোটেক্টিভ ওয়াল দিয়ে কাজ করতে হবে। তা না করতে পারলে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই কিছু কিছু অংশ করে ভাঙতে থাকবে। তিনি বলেন, এছাড়াও সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের উঁচুপিলারগুলো ও অনেকাংশ ভেঙ্গে যাওয়াতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

বানিগাজী গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, সেতু নির্মানের কয়েক মাস পরই এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হোসেন আহাম্মদ বলেন, চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙ্গনের বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। অতি বৃষ্টিতে এখানকার এই অবস্থা।

এতদঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক দ্রুত সংস্কার না করলে যে কোন সময় বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর গোঁড়ায় মরণফাঁদ!

আপডেট সময়ঃ ১০:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের বুক চিরে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত সেতুর গোঁড়া এখন মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। চন্দরপুর-সুনামপুর নামীয় ওই সেতুটি দুই উপজেলার হাজারো মানুষের সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত। এই সেতুটির উপর দিয়ে বিযানীবাজার ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার আরোও দু’টি উপজেলার লোকজন যাতায়াত করেন।

কিন্তু ব্যস্ততম এই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কটির অবস্থা বেহাল। চন্দরপুর অংশের রাস্তাটি ভেঙ্গে ব্লক ও নিচের মাটি চলে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনমতে এসব গর্ত ভরাট করা হলেও চিহ্ন দিয়ে পৃথক করা হয়েছে। যাতে কেউ এই ঝুকিপূর্ণ অংশের উপর দিয়ে চলাচল করতে না পারে। শুধু তাই নয়, এই সেতু ও সড়কের সাইটের পিলারগুলো ও ভেঙে পড়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর মুখের পূর্বদিকের অ্যাপ্রোচ অংশটি একেবারেই ভেঙে হেলে পড়েছে। সেতু থেকে সড়কে যাওয়ার ঢালু অংশটুকু পাড়ি দিতে গিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে যানবাহন এবং চলাচলরত সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয়রা জানান, গত মৌসুমে সৃষ্ট একাধিকবারের বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে রাস্তার পাশের ব্লকগুলো ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া নিচের ভারাটকৃত বালু ও মাটি সরে গিয়ে বিরাটাকারের মরণকূপ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর পশ্চিম দিকের সুনামপুর বাজার অংশেও একই ধরনের ভাঙনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই সংযোগ সড়কটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

স্থানীয় বুধবারীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দীন কামাল বলেন, এই সেতুর অ্যাপ্রোচের দুই অংশ ঠিক রাখতে হলে গভীর নিচ থেকে মজবুত করে প্রোটেক্টিভ ওয়াল দিয়ে কাজ করতে হবে। তা না করতে পারলে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই কিছু কিছু অংশ করে ভাঙতে থাকবে। তিনি বলেন, এছাড়াও সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের উঁচুপিলারগুলো ও অনেকাংশ ভেঙ্গে যাওয়াতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

বানিগাজী গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, সেতু নির্মানের কয়েক মাস পরই এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হোসেন আহাম্মদ বলেন, চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙ্গনের বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। অতি বৃষ্টিতে এখানকার এই অবস্থা।

এতদঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক দ্রুত সংস্কার না করলে যে কোন সময় বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন