কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের শোক
- আপডেট সময়ঃ ১০:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে।
কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।
শুক্রবার এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় বলা হয়, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ পতনোত্তর সময়ে তরুণরা যখন নতুন করে দেশকে গড়ে তুলতে সংগ্রাম করছে তখন দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের উপস্থিতি একান্ত কাম্য ছিল।
শুক্রবার শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি হেলাল হাফিজ। এখন তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রাখা হয়েছে।
‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-র মতো অসংখ্য অমর পঙক্তির রচয়িতা কবি হেলাল হাফিজ গত ৭ অক্টোবর ৭৭ বছরে পদার্পণ করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অনেকটা শয্যাশায়ী ছিলেন কবি।
বেশ কয়েক বছর ধরে শাহবাগে ‘সুপার হোস্টেল’ নামের একটি হোটেলে বসবাস করেছেন তিনি। জন্মদিনের সময় নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে কবি বলেছিলেন, ‘শেষ সময়ে আছি, লাস্ট-স্টেজ বলা যায়। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। শরীর অনেক নাজুক হয়ে গেছে আমার। একেবারে শয্যাশায়ী। আমি একদম ভালো নেই। দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কিডনি, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতার মতো নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছি।’
১৯৮১ সালে প্রকাশিত কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন হেলাল হাফিজ। সে বইয়ের কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’তে কবি লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। কবির এই পঙক্তি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।