০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সরকারি চাল লুট- পদ হারিয়ে কাঁদলেন বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে।

যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল লুটের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসের প্রাথমিক সদস্যসহ সব প্রকার পদ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার রাতে (৫ মার্চ) যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুহুল কুদ্দুস। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার দাবি- চাল লুটের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।অভিযোগ উঠেছে, গতকাল সকালে শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতার ১৫৫ বস্তা চাল বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে কয়েকটি ট্রলিতে করে ডিলার শাহজাহান কবিরের দোকানে পাঠানো হচ্ছিল। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া বকুলতলা পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুসের ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ও তাঁর লোকজন ট্রলি দাঁড় করিয়ে চালককে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গুদামে নামিয়ে নেন।

বিষয়টি প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের কাছে খবর যাওয়ার পর দুপুরের দিকে চালের ট্রলি ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসের প্রাথমিক সদস্যসহ সব প্রকার পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

রুহুল কুদ্দুস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঘটনাস্থল বাগআঁচড়া বকুলতলা মোড়ে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। চাল লুটের বিষয়টি সঠিক নয়। ওই ঘটনার পরপরই কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহজাহান কবির আমার কাছে মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমার ভাই ইবাদুল ইসলামকে কল করে ডিলার শাহজাহান কবিরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাই। তিনি দাবি করেন, শাহজাহান কবিরের কাছে তাঁর নগদ টাকা পাওনা রয়েছে। এ জন্য চাল আটকে রেখেছেন।বিএনপির পদ হারানো এই নেতা আরও বলেন সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জানতে পেরে ট্রলিগুলো আমার ভাই ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি নিছক আমার ভাই ও ডিলার শাহজাহান কবিরের ব্যক্তিগত বিষয়; যা আমি মোটেও জ্ঞাত ছিলাম না। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধ্বংস ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিলার শাহজাহান কবির- ডিলারের প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম- নজরুল ইসলাম প্রমুখ।যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে চাল লুটের অভিযোগ আসে। তাৎক্ষণিক তদন্ত করলে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে দলের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সরকারি চাল লুট- পদ হারিয়ে কাঁদলেন বিএনপি নেতা

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল লুটের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসের প্রাথমিক সদস্যসহ সব প্রকার পদ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার রাতে (৫ মার্চ) যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুহুল কুদ্দুস। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার দাবি- চাল লুটের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়াই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।অভিযোগ উঠেছে, গতকাল সকালে শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতার ১৫৫ বস্তা চাল বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে কয়েকটি ট্রলিতে করে ডিলার শাহজাহান কবিরের দোকানে পাঠানো হচ্ছিল। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া বকুলতলা পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুসের ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ও তাঁর লোকজন ট্রলি দাঁড় করিয়ে চালককে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গুদামে নামিয়ে নেন।

বিষয়টি প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের কাছে খবর যাওয়ার পর দুপুরের দিকে চালের ট্রলি ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসের প্রাথমিক সদস্যসহ সব প্রকার পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

রুহুল কুদ্দুস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঘটনাস্থল বাগআঁচড়া বকুলতলা মোড়ে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। চাল লুটের বিষয়টি সঠিক নয়। ওই ঘটনার পরপরই কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহজাহান কবির আমার কাছে মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমার ভাই ইবাদুল ইসলামকে কল করে ডিলার শাহজাহান কবিরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাই। তিনি দাবি করেন, শাহজাহান কবিরের কাছে তাঁর নগদ টাকা পাওনা রয়েছে। এ জন্য চাল আটকে রেখেছেন।বিএনপির পদ হারানো এই নেতা আরও বলেন সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জানতে পেরে ট্রলিগুলো আমার ভাই ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি নিছক আমার ভাই ও ডিলার শাহজাহান কবিরের ব্যক্তিগত বিষয়; যা আমি মোটেও জ্ঞাত ছিলাম না। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধ্বংস ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিলার শাহজাহান কবির- ডিলারের প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম- নজরুল ইসলাম প্রমুখ।যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে চাল লুটের অভিযোগ আসে। তাৎক্ষণিক তদন্ত করলে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে দলের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন