০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বড়লেখায় চকলেট কিনতে গিয়ে ৩ বছরের শিশুর সর্বনাশ, তরুণ গ্রেপ্তার

বড়লেখা সংবাদদাতা:
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চকলেট কিনতে গিয়ে ৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত রেদওয়ান ইসলাম আরিফ নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রেদওয়ান পৌরসভার গাজিটেকা-আইলাপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে বড়লেখা পৌর এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে। ঘটনার দিন সোমবার (৩ মার্চ) সকালে শিশুটি তার মায়ের কাছে চকলেট খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এসময় শিশুটির মা তাকে ৩০ টাকা দিয়ে বাসার নিচের দোকান থেকে চকলেট কেনার জন্য পাঠান। কিন্তু চকলেট কিনতে গিয়ে শিশুটি বাসায় ফিরতে দেরি করায় তার মা বাসার নিচে গিয়ে দেখেন, দোকান মালিক রেদওয়ান ইসলাম আরিফ ওই শিশুর পরনের পোশাক খুলে তাকে কোলে তুলে পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এসময় তিনি চিৎকার দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় ওইদিনই অভিযুক্ত রেদওয়ান ইসলাম আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার বলেন, এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুটির মা থানায় মামলা করেছেন। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়লেখায় চকলেট কিনতে গিয়ে ৩ বছরের শিশুর সর্বনাশ, তরুণ গ্রেপ্তার

আপডেট সময়ঃ ০৩:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চকলেট কিনতে গিয়ে ৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত রেদওয়ান ইসলাম আরিফ নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রেদওয়ান পৌরসভার গাজিটেকা-আইলাপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে বড়লেখা পৌর এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে। ঘটনার দিন সোমবার (৩ মার্চ) সকালে শিশুটি তার মায়ের কাছে চকলেট খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। এসময় শিশুটির মা তাকে ৩০ টাকা দিয়ে বাসার নিচের দোকান থেকে চকলেট কেনার জন্য পাঠান। কিন্তু চকলেট কিনতে গিয়ে শিশুটি বাসায় ফিরতে দেরি করায় তার মা বাসার নিচে গিয়ে দেখেন, দোকান মালিক রেদওয়ান ইসলাম আরিফ ওই শিশুর পরনের পোশাক খুলে তাকে কোলে তুলে পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এসময় তিনি চিৎকার দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় ওইদিনই অভিযুক্ত রেদওয়ান ইসলাম আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার বলেন, এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুটির মা থানায় মামলা করেছেন। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন