০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ানীবাজারে মোটর সাইকেল চুরির হার উদ্বেগ জনক- শংকিত মোটর সাইকেল মালিকরা

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:২৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে।

বিয়ানীবাজারে সাম্প্রতিক মোটর সাইকেল চুরি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি মোটর সাইকেল পৌরশহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরি হচ্ছে। কিন্তু চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার কিংবা চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার হয়নি।

মঙ্গলবার পৌরশহরের ব্যবসায়ী শানু মিয়ার মোটর সাইকেল এশার নামাজের সময় খাসা নয়াবাজার মসজিদের সামন থেকে চুরি যায়। মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মোটর সাইকেল চোর নামাজরত শানু মিয়ার অবস্থান লক্ষা করে এবং আশপাশের অবস্থা প্রত্যক্ষ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মোটর সাইকেল উধাও হয়ে যায়। মোটর সাইকেল চুরি করতে এসব চোর চক্র একটি মাস্টার কি ব্যবহার করে। সেজন্য তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গাড়িটি চুরি করে পালিয়ে যায়।

এদিকে বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও শহরতলী এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, মসজিদ, অফিস পাড়া থেকে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আতংকিত রয়েছেন মোটর সাইকেলের মালিকরা। লাখ লাখ টাকা দামের মোটর সাইকেল এক নিমিষে চুরির বিষয়টি নিয়ে তারা শংকিত। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ হোসেনের ডিসকাভর ১৫০ সিসি, ক্রিকেটার রাজেল আহমদ গ্লামার, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খসরু, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, কোনাগ্রামের লিটন, চারখাইয়ের রকিবুল হাসান, লিয়াকত হোসেনসহ অনেকেরই মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল একটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ চক্রের সকল সদস্যসহ মূল হোতাও ধরার ছোয়ার বাইরে থাকায় বাড়ছে চুরি। গত কয়েক বছরে সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের ডিসকাভার ১৩৫, মাথিউরা আইনুল হোসেন ডিসকাভার, এনাম উদ্দিনসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেও মোটর সাইকেলের কোন হদিস পাননি।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছোবেদ আলী বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা অবগত হওয়ার পর উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের অনেকের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তারা পুলিশের কাছে আসতে চায়না। তারপরও পুলিশ মোটর সাইকেল চোর চক্রকে গ্রেপ্তার ও মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারে মোটর সাইকেল চুরির হার উদ্বেগ জনক- শংকিত মোটর সাইকেল মালিকরা

আপডেট সময়ঃ ০৬:২৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ানীবাজারে সাম্প্রতিক মোটর সাইকেল চুরি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি মোটর সাইকেল পৌরশহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরি হচ্ছে। কিন্তু চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার কিংবা চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার হয়নি।

মঙ্গলবার পৌরশহরের ব্যবসায়ী শানু মিয়ার মোটর সাইকেল এশার নামাজের সময় খাসা নয়াবাজার মসজিদের সামন থেকে চুরি যায়। মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মোটর সাইকেল চোর নামাজরত শানু মিয়ার অবস্থান লক্ষা করে এবং আশপাশের অবস্থা প্রত্যক্ষ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মোটর সাইকেল উধাও হয়ে যায়। মোটর সাইকেল চুরি করতে এসব চোর চক্র একটি মাস্টার কি ব্যবহার করে। সেজন্য তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গাড়িটি চুরি করে পালিয়ে যায়।

এদিকে বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও শহরতলী এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, মসজিদ, অফিস পাড়া থেকে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আতংকিত রয়েছেন মোটর সাইকেলের মালিকরা। লাখ লাখ টাকা দামের মোটর সাইকেল এক নিমিষে চুরির বিষয়টি নিয়ে তারা শংকিত। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ হোসেনের ডিসকাভর ১৫০ সিসি, ক্রিকেটার রাজেল আহমদ গ্লামার, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খসরু, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, কোনাগ্রামের লিটন, চারখাইয়ের রকিবুল হাসান, লিয়াকত হোসেনসহ অনেকেরই মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল একটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ চক্রের সকল সদস্যসহ মূল হোতাও ধরার ছোয়ার বাইরে থাকায় বাড়ছে চুরি। গত কয়েক বছরে সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের ডিসকাভার ১৩৫, মাথিউরা আইনুল হোসেন ডিসকাভার, এনাম উদ্দিনসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেও মোটর সাইকেলের কোন হদিস পাননি।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছোবেদ আলী বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা অবগত হওয়ার পর উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের অনেকের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তারা পুলিশের কাছে আসতে চায়না। তারপরও পুলিশ মোটর সাইকেল চোর চক্রকে গ্রেপ্তার ও মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন