১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

বিয়ানীবাজারে শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ৪০ ভাগ নলকূপ অচল

সরওয়ার খান:
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে।

শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের জন্য গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সুফল মিলছে না এ প্রকল্পের। যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যেনতেনভাবে কম গভীরতায় স্থাপন করায় এসব নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। বিত্তবানেরা গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপন করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজলেও বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ সাধারণ নি¤œবিত্ত পরিবার।

জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বছরে ২৬০টি করে নলক‚প স্থাপন করা হয়। এ হিসেবে গত ৫ বছরে উপজেলায় ১৩শ’ নলকূপ বসানো হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ফি’ নেওয়া হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা। ফলে হতদরিদ্র উপকারভোগীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির অভাব অনেকটা দূর হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, নলকূপ বসানোর পর থেকেই পানি থাকে না। পানি দিয়ে পানি তুলতে হয়। গ্রামীণ এলাকায় স্থাপিত এসব টিউবওয়েলগুলো প্রথম বছর ঠিকাদার কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণের কথা। কিন্তু নলক‚প স্থাপন করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান।

বিয়ানীবাজার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুজন মিয়া বলেন, বর্তমানে নদী তীরবর্তী অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে পানি উঠছে না। গভীর নলকূপ স্থাপন করে এর সমাধান করতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারে শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ৪০ ভাগ নলকূপ অচল

আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের জন্য গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সুফল মিলছে না এ প্রকল্পের। যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যেনতেনভাবে কম গভীরতায় স্থাপন করায় এসব নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। বিত্তবানেরা গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপন করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজলেও বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ সাধারণ নি¤œবিত্ত পরিবার।

জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বছরে ২৬০টি করে নলক‚প স্থাপন করা হয়। এ হিসেবে গত ৫ বছরে উপজেলায় ১৩শ’ নলকূপ বসানো হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ফি’ নেওয়া হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা। ফলে হতদরিদ্র উপকারভোগীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির অভাব অনেকটা দূর হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, নলকূপ বসানোর পর থেকেই পানি থাকে না। পানি দিয়ে পানি তুলতে হয়। গ্রামীণ এলাকায় স্থাপিত এসব টিউবওয়েলগুলো প্রথম বছর ঠিকাদার কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণের কথা। কিন্তু নলক‚প স্থাপন করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান।

বিয়ানীবাজার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুজন মিয়া বলেন, বর্তমানে নদী তীরবর্তী অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে পানি উঠছে না। গভীর নলকূপ স্থাপন করে এর সমাধান করতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন