১৪ মার্চ দেখা যাবে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ, ২৯ মার্চ হবে সূর্যগ্রহণ

- আপডেট সময়ঃ ০৮:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
- / ৭ বার পড়া হয়েছে।

জ্যোতিষ মতে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের প্রভাব মানব জীবনের ওপর পড়তে দেখা যায়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হতে চলেছে বছরের প্রথম সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ। এই বছর প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ, ২০২৫, আর বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হবে ২৯ মার্চ, ২০২৫-এ। আর এই দুই গ্রহণই মানব জীবনের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে চলতি মাসের ১৪ তারিখে। এই চন্দ্রগ্রহণটি হবে একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না। এই চন্দ্রগ্রহণ মূলত প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং পশ্চিম আফ্রিকায় দৃশ্যমান হবে। এইদিন আবার পূর্ণিমাও বটে। আর এদিন চাঁদের রং থাকবে লালচে, যেটাকে ব্লাডি মুন বলা হয়ে থাকে।আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এলাকায় চন্দ্রগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। বাংলাদেশ থেকে এটি দেখা যাবে না।
গ্রহণের বিবরণীতে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ ঘটবে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পূর্ণ গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে ১২টা ৫৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। পূর্ণ গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ১টা ৩১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। উপচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে বিকেল ৪টা ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে যখন পৃথিবী চলে আসে তখন আলো চাঁদে পৌঁছাতে পারে না। এ অবস্থাটিকেই বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ পৃথিবী যখন চাঁদকে একই সরলরেখায় এসে ঢেকে দেয় তখন চাঁদকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। এটা কখনো আংশিক হয়, কখনো পূর্ণ হয়।অন্যদিকে ২৯ মার্চে হবে ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এদিন দুপুর ২টো ২০ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত গ্রহণ চলবে। এটা আংশিক সূর্যগ্রহণ। এটি উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশ, ইউরোপ এবং উত্তর রাশিয়া থেকে দৃশ্যমান হবে। তাছাড়া কানাডা, পর্তুগাল, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়া থেকে দৃশ্যমান হবে। ভারত, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না।মহাজাগতিক এই ঘটনাটি ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে এবং সরাসরি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান করে। ফলে সূর্যের আলো আটকে যায় এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে একটি কালো ছায়া পড়ে। চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে নিরাপদে দেখা গেলেও সূর্যগ্রহণ সরাসরি দেখা উচিত নয়। কারণ এর ফলে চোখের রেটিনা ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের সময় চোখের সুরক্ষা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।