হেলেন আহমেদ। সিলেটে বহুল আলোচিত একটি নাম। সামরিক-বেসামরিক সরকার, অন্তর্বর্তী বা কেয়ারটেকার- সব আমলেই কম-বেশি ক্ষমতাধর তিনি! আয়েশি জীবনের অধিকারী মিজ আহমেদ বেশ পরিপাটি। ক্ষমতাকেই সবচেয়ে বেশি এনজয় করেন। এটাই তার একমাত্র নেশা, এতে বাড়তি ফিল পান তিনি। ক্ষমতাবানদের সঙ্গে খেলেন, তাদের সঙ্গে টক্কর দিতেও পছন্দ করেন। যেকোনো মূল্যে বাজি জিতার চেষ্টা করেন কৈশোর থেকে। অবশ্য তিনি জিতেছেনও।
হেলেনের ‘সমাজসেবা’ নিয়ে তার সুহৃদরা উচ্ছ্বসিত। তার প্রতি তাদের ভালোবাসা অন্ধ। বিশ্ববিখ্যাত সমাজ হিতৈষী নারী হেলেন কেলারের সঙ্গে তাকে মেলানোর চেষ্টা করেন প্রবাসী অন্ধ ভক্তরা। বলে রাখা ভালো হেলেন কেলার ছিলেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ জীবনভর দুনিয়াকে যা দিয়েছেন তা অতুলনীয়।
হেলেন আহমেদের সমালোচকদের ভাষ্য ঠিক উল্টো। তারা সাহিত্যে বহুল চর্চিত ৩ রহস্যময়ী হেলেন, বনলতা আর মোনালিসার প্রতিচ্ছবি দেখেন মিজ আহমেদের মাঝে। তাদের মতে, হেলেনের গোটা জীবনটাই রহস্যেঘেরা। সিলেটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ধনাঢ্য পিতার একমাত্র সন্তানের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, অল্প বয়সে বিধবা হওয়া, পরবর্তীতে শ্বশুর এবং প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, দীর্ঘ সময় সংসার গণ্ডির মধ্যে না থাকা, বর্তমান পার্টনার এডভোকেট মিছবাহুল ইসলাম কয়েছ (আগের ম্যানেজার)-এর সঙ্গে তার সম্পর্কের রসায়ন- সব কিছুতেই অস্পষ্টতা। অভিযোগ আছে, কেবলমাত্র ব্যক্তিস্বার্থে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে ব্যবহার করেছেন বহুরূপী হেলেন। মোমেনের ওপর তার যে প্রভাব ছিল তাতে তিনি সিলেটের বৃহত্তর কল্যাণে সরকার থেকে অনেক কিছু আদায় করতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি সে পথে হাঁটেননি। বরং বিশ্বস্ততার সুযোগে মন্ত্রীপত্নী ‘লেডি ফরেন মিনিস্টার’ সেলিনা মোমেনের ক্যাশিয়ার হয়ে উঠেন হেলেন। তারা দু’জন মিলে গড়ে তোলেন দুর্নীতির শক্ত সিন্ডিকেট। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিশেষ করে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার, পিআইও, সাব-রেজিস্ট্রার, এসিল্যান্ড, পুলিশ প্রশাসন থেকে বখরা আদায় করতে গিয়ে সিলেটের সহজ-সরল মানুষকে নানাভাবে ঠকিয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন দূর কি বাত। হেলেন আহমেদ প্রশাসনের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মন্ত্রী এবং তার সহধর্মিণীর ক্ষমতার অদৃশ্য হাতের ইশারায়। বিষয়টি এমন ছিল- হেলেনের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া বা তার সিন্ডিকেটের বাইরের কেউ কখনো ড. মোমেনের কাছে ঘেঁষতে পারতেন না। সেটা অফিস বা বাসা যেখানেই হোক। তিনি চাইলে ডিসি/এসপি, হর্তা-কর্তা তো বটেই খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে হাজির করতে পারতেন তার সিলেটের দৌলতখানায়। তার কথার অবাধ্য হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে তৎকালীন অনেক অফিসারকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ড. মোমেনকে দিয়ে সিলেটের ডিআইজিকে স্ট্যান্ডরিলিজ করিয়ে নিজের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছিলেন হেলেন। অবশ্য ঢাকা-সিলেট ফোর লেনের কাজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে টেক্কায় টিকতে পারেন নি। এই একবারই সম্ভবত প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জে হেরেছেন হেলেন!
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক হেলেনের রাজনীতির পাঠশালায় যাওয়া হয়নি কোনোদিন। কিন্তু তার কাছে অসহায় তৃণমূল থেকে উঠে আসা সিলেটের নারী নেত্রীরা। সেলিনা মোমেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে সিনিয়রদের টপকে তিনি সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন। তাছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ নারীদের সব সংগঠনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন হেলেন। তিনি যাকে চাইতেন তাকে চেয়ার দিতেন। অপছন্দ হলে ছুড়ে মারতেন আস্তাকুঁড়ে। হেলেন ক্ষমতার গরমে হেন অপকর্ম নেই যা করেননি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনেও তিনি মাঠে ছিলেন অস্ত্রধারীদের সঙ্গে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। ৫ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন ঢাকায়। নির্ভরযোগ্য সূত্র মানবজমিনকে এটা নিশ্চিত করেছে যে, পুরনো এক বন্ধুর হাত ধরে হেলেন পরবর্তীতে নির্বিঘ্নে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন। বর্তমানে সন্তানদের সঙ্গে তিনি লন্ডনে রয়েছেন।
চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ যেখানে…
সিলেটের মানুষের মুখে মুখে হেলেনের কীর্তি। শেখ মুজিব পরিবারের ঘনিষ্ঠ বৃটেন আওয়ামী লীগ নেতা ছমরু মিয়ার মেয়ে হেলেন। জগন্নাথপুর নিবাসী হেলেন বরাবরই সুশ্রী। আধুনিক চিন্তা-চেতনার ওই তরুণী বিয়ে করেন সিলেটের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মাসুদ আহমদ রুহেলকে। রুহেলের পিতা শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন আহমদ। রুহেল জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী। জাতীয় পার্টি করতেন। এরশাদ জমানায় জাতীয় পার্টির সিলেট বিভাগীয় শীর্ষ নেতা মুকিত খানের ঘনিষ্ঠজন। সেই সুবাদে রুহেল ছিলেন অন্যতম শক্তিধর। ঘনিষ্ঠজনদের মতে; সুন্দরী বউ হেলেনের উচ্চাকাক্সক্ষার সঙ্গে নিজেকে খাপ-খাওয়াতে আকাশে উড়তে চেয়েছিলেন রুহেল। শহরতলীর এয়ারপোর্ট রুটে তার বাবার নামে বন্ধকী সম্পত্তিতে গড়ে তুলেন আহমদ হাউজিং। তাছাড়া জিন্দাবাজারের জল্লারপাড়ে গড়ে তুলেন বহুতল মার্কেট, সঙ্গে হোটেল। নাম দেন ‘দ্য লাস্ট ডেইজ অব রাজ’। তার সম্পত্তি (জমি-জিয়ারত) নিয়ে ঝামেলা ছিল অনেক। এ নিয়ে রুহেল ছিলেন প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায়। যার প্রেক্ষিতে অকালেই মারা যান তিনি।
স্বামীর মৃত্যুর পর পিতার পরিচয়ে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সিলেটে এবং লন্ডনে খানিকটা স্ট্র্যাগল লাইফ শুরু হয় হেলেনের। অবশ্য কষ্ট বেশিদিন করতে হয়নি। তার বাবার অনেক বন্ধু তাকে আশ্রয় দেন, পাশে দাঁড়ান। ততক্ষণে তার নিজেরও অনেক বন্ধু জোগাড় হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হন। বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেন তার জীবনে আশীর্বাদ নিয়ে আসে। সেই সময়ে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন তার নিকটাত্মীয় ফখরুদ্দিন আহমদ। তার ক্ষমতায় তিনি ক্ষমতাধর হয়ে উঠেন সিলেটে। আগে থেকে জমি-জিরাত নিয়ে চলা দ্বন্দ্বে অনেকেই তখন আপস করেন ফখরুদ্দিন আহমদের ভাগ্নিখ্যাত হেলেনের সঙ্গে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে আর ঠেকায় কে? অবশ্য সেই সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। হেলেনের সুবর্ণ যুগ শুরু হয় মুহিতের শেষ সময়ে এসে তার বদলে সহোদর ড. মোমেনের সিলেটের রাজনীতিতে পদার্পণের পর। জাদুর বলে মোমেন পত্নী সেলিনা মোমেনকে বশীভূত করে নেন রহস্যময়ী হেলেন। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়ায় সেলিনা মোমেন আর হেলেন হয়ে উঠেন হরিহর আত্মা। নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার পর মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলে হেলেনকে আর পেছনে ফেরে তাকাতে হয়নি। ৫ই আগস্ট পর্যন্ত সিলেটের রাজনীতিতে মোমেনই ছিলেন সব। যদিও তিনি ২০২৪ এর ডামি নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। বলাবলি আছে মোমেন মন্ত্রী বা এমপি হলেও তার সহধর্মিণী ছিলেন তারও উপরে। সেখানে হেলেনের অবস্থান ছিল ‘ছায়া মন্ত্রী’।
হেলেন অনুপস্থিত, তবে আছেন সিলেটের সামাজিক আড্ডা-আলোচনায়
মার্কিন কবি এডগার অ্যালান পো’র ‘টু হেলেন’ কবিতাটি শুধু উনিশ শতকের তরুণদের নয়, বুড়ো হাড়েও প্রেমের স্পন্দন জাগাতো। অ্যালান পো’র ‘টু হেলেন’ পাঠে প্রভাবিত হয়ে নাকি জীবনানন্দ দাস ‘বনলতা সেন’ লিখেছেন! সাহিত্য-সমালোচকদের মতে, জীবনানন্দ হেলেনের প্রেমে পড়ে বনলতাকে নায়িকা বানিয়েছেন। বনলতা সেন নামের কেউ নাকি আদতে ছিলেন না জীবনানন্দ দাশের জীবনে। তবে সিলেটের রাজনীতি, অর্থনীতি তথা সমাজে হেলেন আহমেদের অস্তিত্ব বিদ্যমান নানা কারণে। যদিও অনেকদিন ধরে তিনি সিলেটে ফিজিক্যালি অনুপস্থিত। হেলেনের প্রেম, বিয়ে এবং মন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে এক আড্ডায় কথা হচ্ছিলো। সেখানে ছিলেন অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রভিন্সের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বারবার অ্যালান পো’র ‘টু হেলেন’ কবিতাকে উদ্ধৃত করছিলেন।
মন্ত্রী মোমেনকে খুশি করতে তার নামে ফাউন্ডেশন ও জমি দান:
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ হেলেন। তিনি তার খুশির প্রকাশ করেছেন তার নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলে। মোমেন পত্নীকে চেয়ারম্যান আর নিজে সেক্রেটারি হয়ে ওই ফাউন্ডেশন গড়েছেন। তাতে একটি জমিও দান করেছেন। অবশ্য সেটার বিনিময়ে তিনি ওই প্লটের আশপাশে থাকা জমিগুলোর শ্রেণি পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছেন। যা তাকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করেছে। চতুর হেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেনের নামে ২০ শতক জমি লিখে দেয়ার পরই ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বড়শালা এলাকাস্থ সেই জমিগুলোর শ্রেণি পাল্টে যায়। হেলেন-সেলিনার জাদুর ছোঁয়ায় ৬০ বছর ধরে কাগজপত্রে থাকা ৭৮৬ শতক ‘টিলা’ শ্রেণির জায়গা মাত্র ২৭ দিনেই হয়ে যায় ‘ভিটা’ ও ‘বাড়ি’। ২০২১ সালের আগস্টে ঘটনাটি ঘটলেও তা পরবর্তীতে জানাজানি হয়।
হেলেনের সঙ্গে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে যা বললেন মোমেন:
হেলেনের সঙ্গে ড. মোমেন পরিবারের ঘনিষ্ঠতা বিষয়ে জানতে চেয়ে বার্তা পাঠানো হয় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের বিবেচনায়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে হেলেনের নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারটি যোগাড় করার চেষ্টা হয়। (হেলেনের বাংলাদেশের নাম্বারগুলো এখন আর ব্যবহৃত হচ্ছে না)। দীর্ঘ জবাবে ইংরেজিতে ড. মোমেন যা বললেন তার সারবেত্তা এরকম- “হেলেন সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা ছিল না। আমি যখন বাংলাদেশে ফিরে আসি তখন তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমাকে বলা হয় যে, তার বাবা ’৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে বৃটেনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং একজন ধনী ব্যক্তি। তার বাবা এবং তার প্রয়াত স্বামীর কাছ থেকে তিনি প্রচুর সম্পদ পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তার স্বামী ছিলেন তার ধনী বাবার (শ্বশুরের) একমাত্র পুত্র। ৬০-এর দশকে তার শ্বশুর বেশির ভাগই জমিদারি সম্পত্তি কেনার পেছনে বিনিয়োগ করেন। তাই তিনি তার বাবার কাছ থেকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে তার প্রয়াত স্বামী এবং প্রয়াত শ্বশুর উভয়ের কাছ থেকে বিপুল সম্পত্তি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে।
হেলেনের সঙ্গে এখন কোনো যোগাযোগ নেই। তার নম্বর নেই জানিয়ে ড. মোমেন লিখেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে না পারার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
পরে পৃথক বার্তায় ড. মোমেন তার ফাউন্ডেশনে হেলেনের জমি দান বিষয়ে লিখেন- ফাউন্ডেশনকে জমি দানের পরই হেলেন আলোচনায় আসেন। যেহেতু সেখানে আমার নাম ছিল, তাই মিডিয়া তাতে কালিমা লেপনের চেষ্টা করেছে।
হেলেনের স্বামী মোমেন ফাউন্ডেশনের প্লটের কাছে একটি ‘হিল টপ’ বাড়ি তৈরি করেছেন জানিয়ে ড. মোমেন দাবি করেন ফাউন্ডেশনকে যে জমি দান করেছেন হেলেন, তা সেই ‘হিল টপ’ বাড়ির নিচে অবস্থিত। সেখানে জমির শ্রেণি পরিবর্তন বা পাহাড় কাটা হয়নি। সুত্র-মানবজমিন
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
© 2024 Sylhet21 All Rights Reserved. | Developed Success Life IT