মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভাঙছে পরিবারের স্বপ্ন

- আপডেট সময়ঃ ১২:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / ৩ বার পড়া হয়েছে।

মোটর সাইকেলের বেপরোয়া গতি আর নিয়ন্ত্রণহীন দুর্ঘটনায় বিয়ানীবাজারে ঝরে যাচ্ছে একের পর এক তাজা প্রাণ। এতে ভাঙছে অভিভাবক ও পরিবারের স্বপ্ন। প্রতিটি অভিভাবকের ইচ্ছা থাকে ছেলে বড় হয়ে ভালো কিছু করবে। কিন্তু না! ছেলে বড় হওয়ার সাথে-সাথে মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার বায়না গভীর হতে থাকে। আর সন্তানের শখকে গুরুত্ব দিয়ে এখানকার অভিভাবকরা তাদেরকে কিনে দিচ্ছেন প্রাণঘাতি মোটর সাইকেল। ফ্যাশন আর শখের মোটর সাইকেল পেয়ে পরিবারের আদুরে সন্তানটির জীবনে আরো গতি পায়। জীবনের বাঁক শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার আঁকা-বাঁকা পথে শুরু হয় ওই সন্তানের রেইস-রেইস খেলা। আগে কে যাবে, এমন অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগীতায় বিয়ানীবাজারে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ঝরছে তাজা প্রাণ, ভেদে যাচ্ছে সন্তানকে ঘিরে মা-বাবার স্বপ্ন। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিয়ানীবাজারে গত এক দশকে মোটর সাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭০ গুণ। পৌরশহরসহ পুরো উপজেলায় অন্তত ১৫ হাজার মোটর সাইকেল দাবিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের কোনটির কাগজপত্র আছে আবার কোনটি আবেদিত। বেশিরভাগের কাগজপত্র নেই, অসংখ্য মোটর সাইকেল অবৈধ-চোরাই। যানজটের ভোগান্তি থেকে রক্ষা কিংবা গন্তব্যে সহজে যেতে মোটর সাইকেল অন্যতম বাহন। এটি ছোট যান কিন্তু ঝুঁকি অনেক। উঠতি বয়সীদের কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয় ও শখের বাহন। বিয়ানীবাজারে মোটর সাইকেলের ব্যবহার প্রায়
প্রতিটি ঘরে ঘরে। গত ২০২৪ সালে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় উপজেলার ৪ তরুণ নিহত হন। আহত হয়েছেন আরোও অন্তত অর্ধশত। প্রতি বছর বাড়ছে অস্থায়ী পঙ্গুত্বের সংখ্যা। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৮ জন। নিরাপদ সড়ক চাই বিয়ানীবাজারের উপদেষ্টা প্রভাষক আব্দুস সামাদ বলেন, অদক্ষ বা নতুন চালক, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে বাইক চালানো। বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান বলেন, অপেক্ষাকৃত তরুণদের মোটর সাইকেল দেওয়ার বিষয়ে পরিবারকে আরও সচেতন হতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেতনতা চালাচ্ছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারপরও রোধ করা যাচ্ছে না