১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ানীবাজারের ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই স্যানিটেশন ব্যবস্থা । 

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে।
বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে শৌচাগার সমস্যায় ভুগছে এসব বিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে একাধিক ধাপে বিয়ানীবাজার উপজেলায় মাত্র ৩৪টি ওয়াসব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। আরোও ২৮টি ওয়াসব্লক নির্মাণের কাজ চলমান। অথচ উপজেলায় মোট ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে ওয়াসব্লক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। এতে শৌচাগার সমস্যায় ভুগছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত কনবাইন্ড আরসিসি ওয়াশব্লক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চেতের লক্ষে সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়াশব্লক প্রকল্পের অধীনে একাধিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে। কিন্তু অল্প কাজ করার পরই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাানাধীন ওয়াসব্লকের গ্রেড বিমের ওপরে উঁচিয়ে রাখা লোহার রডেও ধরেছে মরিচা। নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে রডের গুণগত মান। এছাড়া ছাদ ঢালাই করার পর কাজ বন্ধ হয়ে আছে এমন বিদ্যালয়ও চোখে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভেঙে পড়েছে শৌচাগারের গ্রিল ও দেয়াল। বিদ্যালয় ভবনের সামনে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় অসুবিধায় পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিয়ানীবাজার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা মো: সুজন মিয়া বলেন, আগামী ২-৩ মাসের যেসব বিদ্যালয়ে কাজ বাকি রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। নতুন বরাদ্দ আসলে অন্যান্য বিদ্যালয়ে কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারের ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই স্যানিটেশন ব্যবস্থা । 

আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে শৌচাগার সমস্যায় ভুগছে এসব বিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে একাধিক ধাপে বিয়ানীবাজার উপজেলায় মাত্র ৩৪টি ওয়াসব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। আরোও ২৮টি ওয়াসব্লক নির্মাণের কাজ চলমান। অথচ উপজেলায় মোট ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে ওয়াসব্লক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। এতে শৌচাগার সমস্যায় ভুগছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত কনবাইন্ড আরসিসি ওয়াশব্লক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চেতের লক্ষে সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়াশব্লক প্রকল্পের অধীনে একাধিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে। কিন্তু অল্প কাজ করার পরই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাানাধীন ওয়াসব্লকের গ্রেড বিমের ওপরে উঁচিয়ে রাখা লোহার রডেও ধরেছে মরিচা। নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে রডের গুণগত মান। এছাড়া ছাদ ঢালাই করার পর কাজ বন্ধ হয়ে আছে এমন বিদ্যালয়ও চোখে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভেঙে পড়েছে শৌচাগারের গ্রিল ও দেয়াল। বিদ্যালয় ভবনের সামনে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় অসুবিধায় পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিয়ানীবাজার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা মো: সুজন মিয়া বলেন, আগামী ২-৩ মাসের যেসব বিদ্যালয়ে কাজ বাকি রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। নতুন বরাদ্দ আসলে অন্যান্য বিদ্যালয়ে কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
নিউজটি শেয়ার করুন