বিয়ানীবাজারে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ না বেড়ে বরং কমছে। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছাড়া কর্মক্ষত্রে নারীদের তেমন দেখা মিলেনা। ফলে এখানে বেকার নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা স্থানীয়ভাবে এগিয়ে থাকার পরও শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ কেন কমছে, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা হয়নি।
জানা যায়, কোনো ধরনের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা ছাড়া নারীদের পরিবার বা স্বামী তাকে চাকরি করতে দিচ্ছেন না। শিক্ষিত, যোগ্য হওয়ার পরেও তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। বিয়ানীবাজারের মাত্র সহস্রাধিক নারী শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব নারী কর্মরত। এর বাইরে পৌরশহরের কিছু প্রতিষ্টানে অভ্যর্থনার দায়িত্বে রয়েছেন তারা।
পৌরশহরের এনজিও কর্মকর্তা রাশেদ আহমদ বলেন, বিয়ানীবাজারে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ নেই। আমরা ভবিষ্যতে নারীদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে পরিবার থেকে নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উৎসাহ দেয়া হয়না। আধুনিক যুগে এসেও অনেক পরিবার নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে না। তিনি বলেন, উপজেলায় নারীদের শিক্ষা গ্রহণের হার অনেক বেশী। তবে শিক্ষা গ্রহণের এ প্রবণতায় জীবনের লক্ষ স্থির করা নেই।
বিয়ানীবাজার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন, এখানকার নারীরা অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও কর্মক্ষেত্রে কেন জানি পিছিয়ে আছেন। কর্মক্ষম নারীকে ঘরের বাইরে কাজ করতে দেয়া উচিত। এতে নারী তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়।
উপজেলা তথ্য আপা শিউলী আক্তার মনে করেন, বিয়ানীবাজারের নারীদের শিক্ষা গ্রহণের হারের চেয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের হার প্রায় শুণ্যের কোটায়। এখানকার নারীরাও পুরুষদের মত বিদেশমুখি মানষিকতায় সময় পার করেন। কেউ বিয়ের পর আবার কেউ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের নামে বিদেশ পাড়ি দিয়ে জীবনের গন্তব্য ঠিক করতে চান।
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
© 2024 Sylhet21 All Rights Reserved. | Developed Success Life IT