বিয়ানীবাজারে ইফতারে জিলাপি ছাড়া যেন পূর্ণতা নেই!

- আপডেট সময়ঃ ০৩:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে।

ইফতারের সময় ভাজাভুজি ও ঝালের সঙ্গে কোনো মিষ্টির পদ না থাকলে ঠিক যেন পূর্ণতা পায় না। সে জন্য বিয়ানীবাজারে রোজাদারদের নিদেনপক্ষে জিলাপিটা ইফতারে থাকা চাই-ই। ইফতারির বাজারে এখনো নানা পদের সঙ্গে জিলাপি বিক্রির প্রচলনটাও বেশ। ১ম রমজানেও বিয়ানীবাজার উপজেলার সর্বত্র জিলাপি প্রেমী রোজারদারদের উপঁচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
বিয়ানীবাজারের মানুষ জিলাপি ছাড়া ইফতার ভাবতেই পারেন না। আসরের নামাজের পর লোকজন জিলাপি কিনতে দোকানের সময় রীতিমত লাইনে দাঁড়ান। ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খান কারিগর-মহাজন। উপজেলার স্থায়ী হোটেল-রেস্তোরার পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও জিলাপি বিক্রি শুরু করেন। জিলাপি কিনতে আসা হাবীবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বললেন, ‘আমার বয়স ৫৫। ২০ বছর বয়স থেকে ইফতারে জিলাপি খাই। এখন ডায়াবেটিসের ভয়ে কম খাই। কিন্তু ইফতারে এই জিলাপি থাকাই লাগে। তা না হলে মনে হয় ইফতারিটা পরিপূর্ণ হলো না।’
এদিকে রমজান উপলক্ষে উপজেলার হোটেল-রেস্তোরায় জমে উঠেছে ইফতার সামগ্রী বেচা-কেনা। বিয়ানীবাজারের সাধারণ দোকানগুলোতেই এ বছর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি হচ্ছে। জিলাপি বিক্রেতা শফিকুর রহমান বললেন, ‘আমরা দাম বাড়াতে চাই না। আর রোজা হলে তো দাম বাড়ানোর কথা চিন্তাই করি না। এখন ময়দা, তেল, গ্যাস, চিনি -সবকিছুর দাম বেশি। তাও রোজার মধ্যে জিলাপির দাম বাড়ানো হয়নি। এখনও আমরা এসব উপকরণের দাম কমার অপেক্ষা করছি।’
দোকানে বসে জিলাপি বিক্রি করছেন জাহিদুল। পাশেই জিলাপির প্যাঁচ দিচ্ছেন কারিগর রাসেল। তাকে সহযোগিতা করছেন রাকিব। তার দোকানে তেল এবং ঘিতে ভাজা জিলাপি বিক্রি করছেন। যার যেটা পছন্দ সে সেটাই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি রমজানে জিলাপি কারিগরদের বেশ কদর থাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কারিগর নিয়ে আসেন মহাজনরা।
রমজানে প্রতিদিন আসরের পরে বিয়ানীবাজারের হোটেল-রেস্তোরায় কয়েক মন জিলাপি বিক্রি হয়। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের প্রিয় খাবার জিলাপি। তাই ইফতারে জিলাপি খেতে ক্রেতাদের চিরচেনা ভিড় লেগেই আছে।