প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী হিসেবে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিয়োগ দিয়েছেন। রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী উপদেষ্টাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে যুক্ত থাকবেন এ বিষয়ে কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আনিসুজ্জামান চৌধুরী যোগ্য ব্যক্তি। পুঁজিবাজার, আর্থিক খাতের সংস্কার, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর ইত্যাদি বিষয় তিনি গুরুত্ব নিয়ে দেখবেন। কাল (মঙ্গলবার) তার কার্যপরিধি (টিওআর) ঠিক করা হতে পারে।’
আনিসুজ্জামান চৌধুরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। পরে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে পিএইচডি ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সোমবার অনুষ্ঠিত ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার: গৃহীত পদক্ষেপ, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন এত দিন।
তিনি ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড সাইকোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স একাডেমি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিজনেসে একযোগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে ২০০৮-১৬ সময়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১-১২ সময়ে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন অর্থনীতির শিক্ষক। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া) এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় শিক্ষকতা করেন তিনি।
‘জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমি’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ১৯৯৫-০৮ সময়ে এ দায়িত্বে ছিলেন। এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহসম্পাদক হিসেবে এখনো যুক্ত তিনি। ইকোনমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউর সম্পাদকীয় পরিষদেও তিনি আছেন।
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো-ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা আছে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর। তার ৩০টির মতো বই রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকায় ১০০-এর বেশি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।