তিন বছর পর হারিছ চৌধুরীর কবর সিলেটে
- আপডেট সময়ঃ ১০:০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে।
ঢাকায় দাফনের ৩ বছর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর কবর (দেহাবশেষ) সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে নিজের প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দ্বিতীয় দাফনের মাধ্যমে তার কবর স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নিয়ে সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মুনাজাত করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী ও হারিছকন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী। এসময় হারিছ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করা হয়।
এসময় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পদাক বদরুজ্জামান সেলিম।
বক্তব্য শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মুমিন।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হরিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মেয়ে ও স্বজনরা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা সিলেট সার্কিট হাউসে এসে পৌছেন। পরে সেখানে প্রশাসন এবং সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেহাবশেষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাদ জোহর দেহাবশেষবাহী নেওয়া হয় সিলেট শাহী ঈদগাহ মাঠে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর হারিছ চৌধুরীর লাশ পুনরায় দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী ও আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাজরিনের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে মেয়ে সামিরার এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
লাশ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।