০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

জামাত কর্মীর কাছে ছিল পুলিশের লুট হওয়া পি-স্তল।

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের আট থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। পাঁচদিন আগে সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জোড়া খুনের সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একটি পিস্তল থানার লুট হওয়া অস্ত্র বলে শনাক্ত হয়েছে। লুণ্ঠিত ১৬১টি অস্ত্র গত সাত মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি চট্টগ্রামের পুলিশ।গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয় জামায়াতের দুই কর্মী। স্থানীয়দের উপর গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, এই অস্ত্রগুলো যাতে কোনোভাবেই পেশাদার অপরাধীদের না পৌঁছায় সে ব্যাপারে আমাদের একটা তৎপরতা রয়েছে। আর আমরা গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছি কাদের কাছে এ অস্ত্রগুলো যেতে পারে। এই তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি।পুলিশ বলছে, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে নগরের ৮ থানা ও ৮ ফাঁড়ি থেকে লুট হয় ৩০০টি পিস্তলসহ মোট ৯৪৮টি অস্ত্র ও ১২ হাজার গুলি। সাতকানিয়ায় সোমবার উদ্ধার পিস্তলটি ছিল ব্রাজিলিয়ান ‘টরাস- টিএএইচ’ মডেলের। ৬ ইঞ্চির ছোট্ট এই পিস্তলের দুটি ম্যাগজিনে রাখা যায় ১৭ রাউন্ড গুলি। এই পিস্তল নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়েছিল বলে বডি নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, এটা সিএমপির কোতোয়ালি থানার লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র। ওই অস্ত্রটাই গুলি করতে করতে বুলেট শেষ হয়ে যায়। আমাদের থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রগুলো যে ওখানে প্রদর্শিত হলো, অনেকগুলো অস্ত্র ওখানে প্রদর্শিত হয়েছে। অনেকেই যারা ওখানে প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এই অস্ত্রগুলো পুলিশের অস্ত্রের মতো দেখতে।

থানা থেকে লুট হওয়া ৭৮৭ টি অস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার হয় ৬২৬টি। বাকি ১৬১টি এখনও উদ্ধার না হওয়ায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

জামাত কর্মীর কাছে ছিল পুলিশের লুট হওয়া পি-স্তল।

আপডেট সময়ঃ ১০:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের আট থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। পাঁচদিন আগে সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জোড়া খুনের সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একটি পিস্তল থানার লুট হওয়া অস্ত্র বলে শনাক্ত হয়েছে। লুণ্ঠিত ১৬১টি অস্ত্র গত সাত মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি চট্টগ্রামের পুলিশ।গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয় জামায়াতের দুই কর্মী। স্থানীয়দের উপর গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা।চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, এই অস্ত্রগুলো যাতে কোনোভাবেই পেশাদার অপরাধীদের না পৌঁছায় সে ব্যাপারে আমাদের একটা তৎপরতা রয়েছে। আর আমরা গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছি কাদের কাছে এ অস্ত্রগুলো যেতে পারে। এই তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি।পুলিশ বলছে, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে নগরের ৮ থানা ও ৮ ফাঁড়ি থেকে লুট হয় ৩০০টি পিস্তলসহ মোট ৯৪৮টি অস্ত্র ও ১২ হাজার গুলি। সাতকানিয়ায় সোমবার উদ্ধার পিস্তলটি ছিল ব্রাজিলিয়ান ‘টরাস- টিএএইচ’ মডেলের। ৬ ইঞ্চির ছোট্ট এই পিস্তলের দুটি ম্যাগজিনে রাখা যায় ১৭ রাউন্ড গুলি। এই পিস্তল নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়েছিল বলে বডি নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, এটা সিএমপির কোতোয়ালি থানার লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র। ওই অস্ত্রটাই গুলি করতে করতে বুলেট শেষ হয়ে যায়। আমাদের থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রগুলো যে ওখানে প্রদর্শিত হলো, অনেকগুলো অস্ত্র ওখানে প্রদর্শিত হয়েছে। অনেকেই যারা ওখানে প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এই অস্ত্রগুলো পুলিশের অস্ত্রের মতো দেখতে।

থানা থেকে লুট হওয়া ৭৮৭ টি অস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার হয় ৬২৬টি। বাকি ১৬১টি এখনও উদ্ধার না হওয়ায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ।

নিউজটি শেয়ার করুন