০৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০২:৪১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে।
বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। সব বোর্ডের ফলাফলের ভিত্তিতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তৈরিকৃত সারসংক্ষেপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দমশিক ৯৫ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে মেয়েরা। মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন। আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।

এ নিয়ে টানা চার বছর ধরে সাফল্যের এ ধারা বজায় রাখল দেশের মেয়েরা। শুধু পাসের হারের বিচারে বিগত ১৫ বছর ধরে এগিয়ে তারা।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে থাকছে মেয়েরা।

২০০৯ সালে শেষবারের মতো পাসের হারে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে ছিল ছেলেরা। সে বছর মোট পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের বেশি। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। হয়নি ব্যবহারিক পরীক্ষাও।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা।

আপডেট সময়ঃ ০২:৪১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। সব বোর্ডের ফলাফলের ভিত্তিতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তৈরিকৃত সারসংক্ষেপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দমশিক ৯৫ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে মেয়েরা। মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন। আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।

এ নিয়ে টানা চার বছর ধরে সাফল্যের এ ধারা বজায় রাখল দেশের মেয়েরা। শুধু পাসের হারের বিচারে বিগত ১৫ বছর ধরে এগিয়ে তারা।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে থাকছে মেয়েরা।

২০০৯ সালে শেষবারের মতো পাসের হারে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে ছিল ছেলেরা। সে বছর মোট পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের বেশি। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। হয়নি ব্যবহারিক পরীক্ষাও।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন