০৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

৯৫ জন ফিলিস্তিনির মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। শনিবার ভোরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।এদিকে ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৯৫ জনের নামও প্রকাশ করেছে বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।অপরদিকে, ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে।গত বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জানান, গাজা উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারীর রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই চুক্তির অনুমোদন এবং পার্লামেন্টে সেটির ওপর ভোট হওয়ার কথা ছিল, তবে নেতানিয়াহু বলেন, হামাস সব শর্তে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আয়োজন করবে না তার মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন সামরিক ও বেসামারিক ইসরায়েলি। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারাচুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারে ভোটের আগে সংস্কৃতি মন্ত্রী মিকি জোহার বলেন: “এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু আমরা সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমাদের কাছে সব শিশু ও নারী ও পুরুষকে ঘরে ফিরিয়ে আনাটা গুরুত্বপূর্ণ”। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা অগণিত। এ ছাড়া হামলায় গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা এ উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৯৫ জন ফিলিস্তিনির মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

আপডেট সময়ঃ ০৩:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। শনিবার ভোরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।এদিকে ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৯৫ জনের নামও প্রকাশ করেছে বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।অপরদিকে, ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে।গত বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জানান, গাজা উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারীর রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই চুক্তির অনুমোদন এবং পার্লামেন্টে সেটির ওপর ভোট হওয়ার কথা ছিল, তবে নেতানিয়াহু বলেন, হামাস সব শর্তে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আয়োজন করবে না তার মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন সামরিক ও বেসামারিক ইসরায়েলি। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারাচুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারে ভোটের আগে সংস্কৃতি মন্ত্রী মিকি জোহার বলেন: “এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু আমরা সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমাদের কাছে সব শিশু ও নারী ও পুরুষকে ঘরে ফিরিয়ে আনাটা গুরুত্বপূর্ণ”। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা অগণিত। এ ছাড়া হামলায় গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা এ উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন