১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর পরিচয় মিলল বিয়ানীবাজারের ৩ বীর শহীদের 

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:১৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে।

ছবির এই বধ্যভূমিতে অন্যান্যদের সাথে দাফন করা হয় বিয়ানীবাজারের ৩ বীর শহীদকে

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসজুড়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে পূর্বদিকের টিলার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। যেখানে মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে পাকহানাদাররা চালাত নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ। এখানে নিহত প্রাথমিকভাবে ৬৬ জন শহীদের নাম-পরিচয় পেয়েছে শহীদ স্মৃতি উদ্যান বাস্তবায়ন কমিটি। এখানে বিয়ানীবাজার উপজেলার তিনজন বীর শহীদের নামও আছে।

সিলেট সেনানিবাসের সহযোগিতায় দুটি শহীদ পরিবারের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান’ সিলেট।
এদিকে দুই বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও গবেষকদের তথ্যমতে এ বধ্যভূমিতে শহীদ হওয়া ৬৬ জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে। গত বছরের মার্চে এটি উদ্বোধন করা হয়। তখন সংবাদ সম্মেলনে এই ৬৬ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজারের ৩ জন হলেন- উপজেলার দেউল গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে নুরুল হুদা গউস, ইপিআর ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন ও ছোটদেশ এলাকার আছদ্দর আলীর ছেলে তোতা মিয়া।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেট ক্যাডেট কলেজে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প। কলেজের পিছনের পূর্বদিকের টিলায় নারী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী বাঙালিকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো টিলার জঙ্গলে। মানুষের মরদেহগুলো হতো পশুপাখির খাদ্য। পড়ে থাকত কঙ্কাল। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরও এসব এলাকায় মানুষের হাড়, মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা। সিলেটের সকল বধ্যভূমি চিহ্নিত করে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করার দাবি জানান তিনি।
শহীদ স্মৃতি উদ্যানের উদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বীরপ্রতিক জানান, ‘বধ্যভূমিটি আমাদের কেবল আত্মদানের স্মৃতি নয়। এটি আমাদের গর্বের, আবেগের। এখানে একটি শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণের পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র সহযোগিতায় উদ্যানের কাজ শুরু করা হয়; ইতোমধ্যে কাজ শেষ। তিনি আরও বলেন, গণকবরে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় পেতে সিলেটের স্থানীয় পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ৬৬ জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নামফলক বসানো হবে। পরবর্তীতের আর কারও পরিচয় পাওয়া গেলে তাদের নাম ফলকও বসানো হবে।’
যেসব শহীদের পরিচয় মিলছে:
দুই বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও গবেষকদের তথ্যমতে এ বধ্যভূমিতে শহীদ হওয়া ৬৬জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে। এরা হলেন- নারায়ানগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ড. এএফ জিয়াউর রহমান, হবিগঞ্জ জেলার আউশকান্দি এলাকার সেয়দ সাজিদ আলীর ছেলে সৈয়দ সিরাজ আবদাল, সিলেট নগরের পুরাণলেন এলাকার উপেন্দ্র কিশোর সেনগুপ্তের ছেলে বিমলাংশও সেন, ছড়ারপাড় এলাকার আব্দুন নুরের ছেলে বাছির মিয়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউল গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে নুরুল হুদা গউস, ইপিআর ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন, সিলেট নগরের মুগলটুলা এলাকার মশরফ আলীর ছেলে সোনাওর আলী, মিরাবাজার এলাকার শারদাচরণ দেবের ছেলে শুভেন্দু শেখর দেব শংকর, একই এলাকার গিরিধারী চক্রবর্তীর ছেলে গির্বানী কান্ত চক্রবর্তী, তাঁর ছেলে গকুলানন্দ চক্রবর্তী ও গঙ্গোত্রী চক্রবর্তী, খাদিমপাড়া দত্তগ্রাম এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সিদ্দিক আলী, একই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রব হীরা, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খলাগ্রামের সূর্যকুমার ধরের ছেলে সুরতিমোহন ধর, একই গ্রামের দীনরাম দেবের ছেলে নরেন্দ্র দেব, সিলেট নগরের জল্লারপাড় এলাকার বলেন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে শুভন্দ্র শেখর রায়, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছোটদেশ এলাকার আছদ্দর আলীর ছেলে তোতা মিয়া, সিলেট সদর উপজেলার মহালদিক গ্রামের আনোয়ার পাত্রের ছেলে কুমেদ পাত্র একই গ্রামের কানতুর পাত্রের ছেলে ফরছন পাত্র, রবাই মিয়ার ছেলে ইসরাইল আলী, সৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, কনাই মিয়ার ছেলে আব্দুল গনি, মুছন আলীর ছেলে রমজান আলী, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার হামিদ উল্লার ছেলে হাজী আমজদ আলী, সিলেট নগরীর আখালিয়া ব্রাহ্মণশাসন এলাকার করুণাময় ভট্টাচার্য্যরে ছেলে কালিপদ ভট্টাচার্য্য, তাঁর ছেলে হীরেন্দ্র ভট্টাচার্য্য, নগরীর নয়াটিলা এলাকার সদাই নমঃশুদ্রের ছেলে সুখাই নমঃশুদ্র, সিলেট সদর উপজেলার উমদারপাড়া গ্রামের আলাই মিয়ার মেয়ে ছুরেতুননেছা, একই গ্রামের ওয়াহাব উল্লার মেয়ে রহিমা বেগম ও খলিলা বেগম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার খোজারখলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে তজমুল আলী। সিলেট সদর উপজেলার মহালদিক গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে ময়না বিবি, গোয়াইনঘাট উপজেলার বীরকুলি গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে আব্দুল খালিক, সিলেট সদর উপজেলার লাখাউড়া গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে আব্দুল মজিদ, একই উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামের রামচরণ উড়াংয়ের সন্তান দূর্গা উড়াং ও ভাদুয়া উড়াং, একই গ্রামের লিব উড়াংয়ের সন্তান ঘাটমা উড়াং, একই উপজেলার বাবার হাট এলাকার কিশোরপাত্রের ছেলে শচীন্দ্রপাত্র, মহালদিক গ্রামের ছফর আলীর ছেলে আব্দুল গণি, সিলেট সদর উপজেলার লালবাগ এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে জহির আলী, একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জফুর আলী, সিলেট সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল ছোবহান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে আব্দুল আলী, সিলেট সদর উপজেলার জৈনকারকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে সাজিদ আলী, একই উপজেলার বাউয়ারকান্দি গ্রামের সফর আলীর ছেলে আব্দুল গনি, গোয়াইনঘাট উপজেলার কচুয়ারপাড় গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে আকবর আলী, একই গ্রামের ফুরকান আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, সিলেট সদর উপজেলার দাফনাটিলা গ্রামের ইসরাইল আলীর ছেলে কুটি মিয়া, একই উপজেলার কালাগুল এলাকার কেয়ামত আলীর ছেলে সুরুজ আলী। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের ফজল খানের ছেলে নুরুল হক খান, সিলেট সদর উপজেলার মহাজনপট্টি এলাকার গুরুচরণ মিত্রের ছেলে গজেন্দ্রলাল মিত্র, একই এলাকার মদনমোহন বণিকের ছেলে প্রাণ গোবিন্দ বণিক, শুধাংশু শেখর দত্তের ছেলে সুনীল দত্ত, সিলেট নগরীর সুবিদবাজার নয়াবস্তি এলাকার নারায়ন সিংহের ছেলে আনন্দ সিংহ, তাঁর ছেলে খগেন্দ সিংহ, বড়বাজার রায়হোসেন এলাকর গরবা সিংহের ছেলে গৌরমোহন সিংহ, সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার কর্মকলাপতি গ্রামের বৃন্দাবন চন্দ্র দেবের ছেলে বসন্ত কুমার দেব, সিলেট নগরীর তাঁতীপাড়া এলাকার বংকেশ দাশ, সিলেটের ওসমানীনগর উপজলার তাজপুর রবিদাশ এলাকার গজেন্দ্র কুমার দেবের ছেলে মিহির লাল দেব ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার নন্দনগর গ্রামের আব্দুল গণি চৌধুরীর ছেলে আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাঘার মসিউদ্দিন চৌধুরী ছেলে সাইফুদ্দিন চৌধুরী। তাছাড়াও ইপিআর’র মেজর আব্দুল্লাহ, ক্যাপ্টেন খালেদ, মেজর চৌধুরী। তাঁদের পিতার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর পরিচয় মিলল বিয়ানীবাজারের ৩ বীর শহীদের 

আপডেট সময়ঃ ০৫:১৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসজুড়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে পূর্বদিকের টিলার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। যেখানে মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে পাকহানাদাররা চালাত নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ। এখানে নিহত প্রাথমিকভাবে ৬৬ জন শহীদের নাম-পরিচয় পেয়েছে শহীদ স্মৃতি উদ্যান বাস্তবায়ন কমিটি। এখানে বিয়ানীবাজার উপজেলার তিনজন বীর শহীদের নামও আছে।

সিলেট সেনানিবাসের সহযোগিতায় দুটি শহীদ পরিবারের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান’ সিলেট।
এদিকে দুই বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও গবেষকদের তথ্যমতে এ বধ্যভূমিতে শহীদ হওয়া ৬৬ জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে। গত বছরের মার্চে এটি উদ্বোধন করা হয়। তখন সংবাদ সম্মেলনে এই ৬৬ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজারের ৩ জন হলেন- উপজেলার দেউল গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে নুরুল হুদা গউস, ইপিআর ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন ও ছোটদেশ এলাকার আছদ্দর আলীর ছেলে তোতা মিয়া।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেট ক্যাডেট কলেজে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প। কলেজের পিছনের পূর্বদিকের টিলায় নারী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী বাঙালিকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো টিলার জঙ্গলে। মানুষের মরদেহগুলো হতো পশুপাখির খাদ্য। পড়ে থাকত কঙ্কাল। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরও এসব এলাকায় মানুষের হাড়, মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা। সিলেটের সকল বধ্যভূমি চিহ্নিত করে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করার দাবি জানান তিনি।
শহীদ স্মৃতি উদ্যানের উদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বীরপ্রতিক জানান, ‘বধ্যভূমিটি আমাদের কেবল আত্মদানের স্মৃতি নয়। এটি আমাদের গর্বের, আবেগের। এখানে একটি শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণের পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র সহযোগিতায় উদ্যানের কাজ শুরু করা হয়; ইতোমধ্যে কাজ শেষ। তিনি আরও বলেন, গণকবরে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় পেতে সিলেটের স্থানীয় পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ৬৬ জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নামফলক বসানো হবে। পরবর্তীতের আর কারও পরিচয় পাওয়া গেলে তাদের নাম ফলকও বসানো হবে।’
যেসব শহীদের পরিচয় মিলছে:
দুই বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও গবেষকদের তথ্যমতে এ বধ্যভূমিতে শহীদ হওয়া ৬৬জন বীর শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে। এরা হলেন- নারায়ানগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ড. এএফ জিয়াউর রহমান, হবিগঞ্জ জেলার আউশকান্দি এলাকার সেয়দ সাজিদ আলীর ছেলে সৈয়দ সিরাজ আবদাল, সিলেট নগরের পুরাণলেন এলাকার উপেন্দ্র কিশোর সেনগুপ্তের ছেলে বিমলাংশও সেন, ছড়ারপাড় এলাকার আব্দুন নুরের ছেলে বাছির মিয়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউল গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে নুরুল হুদা গউস, ইপিআর ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন, সিলেট নগরের মুগলটুলা এলাকার মশরফ আলীর ছেলে সোনাওর আলী, মিরাবাজার এলাকার শারদাচরণ দেবের ছেলে শুভেন্দু শেখর দেব শংকর, একই এলাকার গিরিধারী চক্রবর্তীর ছেলে গির্বানী কান্ত চক্রবর্তী, তাঁর ছেলে গকুলানন্দ চক্রবর্তী ও গঙ্গোত্রী চক্রবর্তী, খাদিমপাড়া দত্তগ্রাম এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সিদ্দিক আলী, একই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রব হীরা, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খলাগ্রামের সূর্যকুমার ধরের ছেলে সুরতিমোহন ধর, একই গ্রামের দীনরাম দেবের ছেলে নরেন্দ্র দেব, সিলেট নগরের জল্লারপাড় এলাকার বলেন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে শুভন্দ্র শেখর রায়, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছোটদেশ এলাকার আছদ্দর আলীর ছেলে তোতা মিয়া, সিলেট সদর উপজেলার মহালদিক গ্রামের আনোয়ার পাত্রের ছেলে কুমেদ পাত্র একই গ্রামের কানতুর পাত্রের ছেলে ফরছন পাত্র, রবাই মিয়ার ছেলে ইসরাইল আলী, সৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, কনাই মিয়ার ছেলে আব্দুল গনি, মুছন আলীর ছেলে রমজান আলী, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার হামিদ উল্লার ছেলে হাজী আমজদ আলী, সিলেট নগরীর আখালিয়া ব্রাহ্মণশাসন এলাকার করুণাময় ভট্টাচার্য্যরে ছেলে কালিপদ ভট্টাচার্য্য, তাঁর ছেলে হীরেন্দ্র ভট্টাচার্য্য, নগরীর নয়াটিলা এলাকার সদাই নমঃশুদ্রের ছেলে সুখাই নমঃশুদ্র, সিলেট সদর উপজেলার উমদারপাড়া গ্রামের আলাই মিয়ার মেয়ে ছুরেতুননেছা, একই গ্রামের ওয়াহাব উল্লার মেয়ে রহিমা বেগম ও খলিলা বেগম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার খোজারখলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে তজমুল আলী। সিলেট সদর উপজেলার মহালদিক গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে ময়না বিবি, গোয়াইনঘাট উপজেলার বীরকুলি গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে আব্দুল খালিক, সিলেট সদর উপজেলার লাখাউড়া গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে আব্দুল মজিদ, একই উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামের রামচরণ উড়াংয়ের সন্তান দূর্গা উড়াং ও ভাদুয়া উড়াং, একই গ্রামের লিব উড়াংয়ের সন্তান ঘাটমা উড়াং, একই উপজেলার বাবার হাট এলাকার কিশোরপাত্রের ছেলে শচীন্দ্রপাত্র, মহালদিক গ্রামের ছফর আলীর ছেলে আব্দুল গণি, সিলেট সদর উপজেলার লালবাগ এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে জহির আলী, একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জফুর আলী, সিলেট সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল ছোবহান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে আব্দুল আলী, সিলেট সদর উপজেলার জৈনকারকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে সাজিদ আলী, একই উপজেলার বাউয়ারকান্দি গ্রামের সফর আলীর ছেলে আব্দুল গনি, গোয়াইনঘাট উপজেলার কচুয়ারপাড় গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে আকবর আলী, একই গ্রামের ফুরকান আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, সিলেট সদর উপজেলার দাফনাটিলা গ্রামের ইসরাইল আলীর ছেলে কুটি মিয়া, একই উপজেলার কালাগুল এলাকার কেয়ামত আলীর ছেলে সুরুজ আলী। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের ফজল খানের ছেলে নুরুল হক খান, সিলেট সদর উপজেলার মহাজনপট্টি এলাকার গুরুচরণ মিত্রের ছেলে গজেন্দ্রলাল মিত্র, একই এলাকার মদনমোহন বণিকের ছেলে প্রাণ গোবিন্দ বণিক, শুধাংশু শেখর দত্তের ছেলে সুনীল দত্ত, সিলেট নগরীর সুবিদবাজার নয়াবস্তি এলাকার নারায়ন সিংহের ছেলে আনন্দ সিংহ, তাঁর ছেলে খগেন্দ সিংহ, বড়বাজার রায়হোসেন এলাকর গরবা সিংহের ছেলে গৌরমোহন সিংহ, সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার কর্মকলাপতি গ্রামের বৃন্দাবন চন্দ্র দেবের ছেলে বসন্ত কুমার দেব, সিলেট নগরীর তাঁতীপাড়া এলাকার বংকেশ দাশ, সিলেটের ওসমানীনগর উপজলার তাজপুর রবিদাশ এলাকার গজেন্দ্র কুমার দেবের ছেলে মিহির লাল দেব ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার নন্দনগর গ্রামের আব্দুল গণি চৌধুরীর ছেলে আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাঘার মসিউদ্দিন চৌধুরী ছেলে সাইফুদ্দিন চৌধুরী। তাছাড়াও ইপিআর’র মেজর আব্দুল্লাহ, ক্যাপ্টেন খালেদ, মেজর চৌধুরী। তাঁদের পিতার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন