০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটে ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবের ম্যুরাল

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ১১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে। এর আগে ম্যুরালটি অপসারণে ‘তৌহিদি জনতার ব্যানারে ৩ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এটি ভেঙে দিয়েছে। এটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন দিবসে এই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ম্যুরালটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ম্যুরালটি অপসারণের দাবি ওঠে।

৯ জানুয়ারি ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে প্রথমে ম্যুরালটি অপসারণের দাবি ওঠে। এরপর সোমবার ৩ দিনের আলটিমেটাম দেয় ‘তৌহিদি জনতা’। ম্যুরাল অপসারণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নগরের জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ও মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব। বৃহস্পতিবার বিকালে আলটিমেটামের সময় শেষ হলে রাতেই কে বা কারা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে।

সিলেট সেনানিবাসে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ দাবি:
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের খবর পাওয়ার পর শুকরানা সমাবেশে পরিণত হয়। ওই সমাবেশে সিলেট সেনানিবাসে স্থাপিত শেখ মুজিবের অতিদ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়।

সিলেটের তাওহিদি কাফেলার আহ্বায়ক মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ ও মুফতি রশিদ আহমদ।

বক্তব্য দেন তাওহিদি কাফেলার উপদেষ্টা বিএনপি নেতা ও সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালি, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী, হযরত শাহজালাল রহ. তাওহিদি কাফেলার সদস্য সচিব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মহানগর কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মুশতাক, আলহাবীব ছাত্র সংসদের জিএস আখতার আহমদ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিলেটে ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবের ম্যুরাল

আপডেট সময়ঃ ১১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে। এর আগে ম্যুরালটি অপসারণে ‘তৌহিদি জনতার ব্যানারে ৩ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এটি ভেঙে দিয়েছে। এটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন দিবসে এই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ম্যুরালটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ম্যুরালটি অপসারণের দাবি ওঠে।

৯ জানুয়ারি ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে প্রথমে ম্যুরালটি অপসারণের দাবি ওঠে। এরপর সোমবার ৩ দিনের আলটিমেটাম দেয় ‘তৌহিদি জনতা’। ম্যুরাল অপসারণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নগরের জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ও মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব। বৃহস্পতিবার বিকালে আলটিমেটামের সময় শেষ হলে রাতেই কে বা কারা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে।

সিলেট সেনানিবাসে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ দাবি:
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের খবর পাওয়ার পর শুকরানা সমাবেশে পরিণত হয়। ওই সমাবেশে সিলেট সেনানিবাসে স্থাপিত শেখ মুজিবের অতিদ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়।

সিলেটের তাওহিদি কাফেলার আহ্বায়ক মাওলানা মুশতাক আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ ও মুফতি রশিদ আহমদ।

বক্তব্য দেন তাওহিদি কাফেলার উপদেষ্টা বিএনপি নেতা ও সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালি, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী, হযরত শাহজালাল রহ. তাওহিদি কাফেলার সদস্য সচিব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মহানগর কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মুশতাক, আলহাবীব ছাত্র সংসদের জিএস আখতার আহমদ।

নিউজটি শেয়ার করুন