০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লাশ গুমের ছক, দাফনের নাটক; তবুও শেষ রক্ষা হলো না

নওগাঁ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে।

 

নওগাঁর পত্নীতলায় জাহিদুল ইসলামকে (৪১) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার বিরোধের জেরে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যার পর সন্দেহ এড়াতে গ্রেপ্তার তিনজন নিহত জাহিদুলের দাফনেও অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

এর আগে, গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পত্নীতলার কোতালী গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)।

নিহত জাহিদুল ইসলাম পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করে আসামিরা। পরে তাঁর মৃতদেহ একটি নীল পলিথিনে মুড়িয়ে অটোভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাঁইগা ইউনিয়নের একটি কালভার্টের নিচে ফেলা হয়। এ ছাড়া হত্যার পর আলামত ধ্বংস করতে জাহিদুলের মোটরসাইকেলটি মাঠের মধ্যে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় নিহত জাহিদুলের স্ত্রী থানায় মামলা করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরিয়ে দিতে আসামিরা লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল। এমনকি তারা লাশ উদ্ধারের সময় ও দাফনের কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়, যাতে কেউ সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লাশ গুমের ছক, দাফনের নাটক; তবুও শেষ রক্ষা হলো না

আপডেট সময়ঃ ১১:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

নওগাঁর পত্নীতলায় জাহিদুল ইসলামকে (৪১) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার বিরোধের জেরে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যার পর সন্দেহ এড়াতে গ্রেপ্তার তিনজন নিহত জাহিদুলের দাফনেও অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

এর আগে, গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পত্নীতলার কোতালী গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)।

নিহত জাহিদুল ইসলাম পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করে আসামিরা। পরে তাঁর মৃতদেহ একটি নীল পলিথিনে মুড়িয়ে অটোভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাঁইগা ইউনিয়নের একটি কালভার্টের নিচে ফেলা হয়। এ ছাড়া হত্যার পর আলামত ধ্বংস করতে জাহিদুলের মোটরসাইকেলটি মাঠের মধ্যে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় নিহত জাহিদুলের স্ত্রী থানায় মামলা করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরিয়ে দিতে আসামিরা লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল। এমনকি তারা লাশ উদ্ধারের সময় ও দাফনের কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়, যাতে কেউ সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন