০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে?

ডেস্ক নিউজ:
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে।

ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজারখানেক মানুষ। তবে গত মৌসুমের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা কম। গত বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ৫৭৫ জন। চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৮ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছে ৪৩৯ জন। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ডিসেম্বরে ডেঙ্গু রোগী আরও কিছুটা কমে আসবে। যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমকে ধরা হতো ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়কাল হিসেবে। কিন্তু এখন সারা বছরই পাওয়া যায় ডেঙ্গু রোগী। তবে গেলো বছর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল জুলাই থেকে নভেম্বরে। এসময়ের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ৮৯ হাজারে। অর্থাৎ গত বছরের এই সময়ের চেয়ে এবার রোগী প্রায় ৭০ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী—এই বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছে ৪৯৭ জন। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল গত বছর। গত চার বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল আগস্টে, ২০২১ সালে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, আর ২০২২ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বছরের শেষদিকে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আবার বছরের শেষভাগে বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস রোগী কম ছিল। জুলাই থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গু হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে তখন ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়– এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর (২০২৪) প্রাপ্ত রোগীদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী সবচেয়ে বেশি। আর মৃতদের মধ্যে ২১-৫৫ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৪৪ জন, ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪৯ জন, ৩১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪১ জন, ৩৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪০ জন, ৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৩৬ জন, ৪৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৯ জন, ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৪২ জন এবং ৫৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩৮ জন আছেন।

প্রতিবছর স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু মশার বিস্তার নিয়ে বর্ষা মৌসুমের আগে এবং পরে দুবার জরিপ করে থাকে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সেটা করা হয়নি। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে মশার লার্ভা বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছিল—ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা প্রায় সবাই শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এ কারণে শকে গিয়ে মারা যাচ্ছেন তারা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানান, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মাঝে মারা যাচ্ছেন। একেবারে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আসছেন হাসপাতালে। রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় এলে এটি হতো না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাসার মনে করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত ছিল না।

তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তা নেওয়া হয়নি। ফলে মশা ও রোগী দুটোই বেড়েছে। রোগী বাড়ার কারণে মৃত্যুও হচ্ছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনেরও বিষয় আছে। আশা করি ডিসেম্বরে রোগী কমে আসবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনও কার্যক্রম ছিল না। অভিযান ছিল না। জলবায়ুজনিত কারণ তো আছেই। পাশাপাশি বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে মশার ডিম পাড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। বৃষ্টিপাতের পর দেড় থেকে দুই মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। তাপমাত্রা কমলে হয়তো রোগী কমে যেতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে?

আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজারখানেক মানুষ। তবে গত মৌসুমের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা কম। গত বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ৫৭৫ জন। চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৮ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছে ৪৩৯ জন। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ডিসেম্বরে ডেঙ্গু রোগী আরও কিছুটা কমে আসবে। যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমকে ধরা হতো ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়কাল হিসেবে। কিন্তু এখন সারা বছরই পাওয়া যায় ডেঙ্গু রোগী। তবে গেলো বছর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল জুলাই থেকে নভেম্বরে। এসময়ের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ৮৯ হাজারে। অর্থাৎ গত বছরের এই সময়ের চেয়ে এবার রোগী প্রায় ৭০ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী—এই বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছে ৪৯৭ জন। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল গত বছর। গত চার বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল আগস্টে, ২০২১ সালে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, আর ২০২২ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বছরের শেষদিকে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আবার বছরের শেষভাগে বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস রোগী কম ছিল। জুলাই থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গু হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে তখন ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়– এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর (২০২৪) প্রাপ্ত রোগীদের মধ্যে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী সবচেয়ে বেশি। আর মৃতদের মধ্যে ২১-৫৫ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৪৪ জন, ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪৯ জন, ৩১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪১ জন, ৩৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪০ জন, ৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৩৬ জন, ৪৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৯ জন, ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৪২ জন এবং ৫৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩৮ জন আছেন।

প্রতিবছর স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু মশার বিস্তার নিয়ে বর্ষা মৌসুমের আগে এবং পরে দুবার জরিপ করে থাকে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সেটা করা হয়নি। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে মশার লার্ভা বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছিল—ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা প্রায় সবাই শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এ কারণে শকে গিয়ে মারা যাচ্ছেন তারা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানান, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারে শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মাঝে মারা যাচ্ছেন। একেবারে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আসছেন হাসপাতালে। রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় এলে এটি হতো না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাসার মনে করেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত ছিল না।

তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তা নেওয়া হয়নি। ফলে মশা ও রোগী দুটোই বেড়েছে। রোগী বাড়ার কারণে মৃত্যুও হচ্ছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনেরও বিষয় আছে। আশা করি ডিসেম্বরে রোগী কমে আসবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনও কার্যক্রম ছিল না। অভিযান ছিল না। জলবায়ুজনিত কারণ তো আছেই। পাশাপাশি বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে মশার ডিম পাড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। বৃষ্টিপাতের পর দেড় থেকে দুই মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। তাপমাত্রা কমলে হয়তো রোগী কমে যেতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন