টোল নিতে দেরি, বিএনপি নেতার হাতে কর্মচারী লাঞ্ছিত

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে।

টোল নিতে দেরি হওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় কর্মরত কম্পিউটার অপারেটরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে লোহাগাড়ার এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম নাজমুল মোস্তফা আমিন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক। অপরদিকে ভুক্তভোগী কম্পিউটার অপারেটরের নাম মোহাম্মদ ইমন। তিনি টোলপ্লাজায় টোল তোলার দায়িত্বে আছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়িবহর সাতকানিয়ার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোলপ্লাজা পার হচ্ছিল। বহরের গাড়িগুলোর মধ্যে সাদা ও কালো রঙের কয়েকটি প্রাইভেট কার ছিল। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোলপ্লাজা অতিক্রম করছিল। একপর্যায়ে নাজমুল মোস্তফা আমিনের গাড়ি টোল দিতে এগিয়ে যায়। এ সময় টোল আদায়ে বিলম্ব হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে টোলপ্লাজার বুথে প্রবেশ করেন।
টোলপ্লাজার কর্মীরা জানান, শুক্রবার সাধারণত টোলপ্লাজায় গাড়ির চাপ বেশি থাকে এবং যানজটের কারণে কিছুটা সময় লাগে। নাজমুল মোস্তফা আমিন এই সামান্য বিলম্বে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মী ইমনকে গালিগালাজ করেন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং কম্পিউটারে আঘাত করেন। তার এ আচরণের ফলে অন্যান্য কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিক কয়েকটি গাড়ি থেকে টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, দীর্ঘ যানজটের কবলে চরম ভোগান্তিতে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জুমার নামাজ আদায় করতে না পেরে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। উত্তেজিত জনতার জনরোষ নিয়ন্ত্রণ করতেই ওই কর্মচারীকে নিজেই কড়া কথা বলি। আমি তার গায়ে হাত দিইনি। টাকাটা দিয়ে জাস্ট ড্রয়ারটা বন্ধ করেছি।