০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এখনও তিনশ টাকায় রোগী দেখেন ডা. এজাজ

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে।

সহকর্মীদের কথা শুনে একবার ভিজিট ফি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে ডা. এজাজুল ইসলাম বুঝতে পারলেন এত অর্থ ব্যয় করা রোগীদের পক্ষে সম্ভব না। ফিরে গেলেন সেই ৩০০ টাকা ভিজিটে। সম্প্রতি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতা জানিয়েছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন ভিজিটের অর্থ বাড়াবেন না।

বর্তমানে ঢাকার মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন ডা. এজাজ। তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ আখ্যা দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশো’তে এসে তিনি ভিজিটের বিষয়টি জানান।

ডা. এজাজ সেদিন শুনিয়েছেন ৩০০ টাকা ভিজিটে ফেরার গল্প, ‘ঢাকা মেডিকেলে আসার পর সেখানকার স্টাফরা আমাকে বললেন, স্যার রোগী দেখতে যে ফি নেন, সেটা খুবই সামান্য। আপনার ভিজিট ফি বাড়ানো উচিত। তাদের কথায় ৩০০ টাকা থেকে ফি ৫০০ টাকা করলাম। দুদিন ৫০০ ফি নেওয়ার পর দেখলাম, অনেক রোগী এই খরচ বহন করতে পারছেন না। পরে আমি আবার ৩০০ টাকা ফি নেয়া শুরু করি। সবাইকে বলে দিই যতদিন বাঁচবো ৩০০ টাকা ফি’তে রোগী দেখবো। আসলে জীবনে বাঁচতে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা দিয়েছেন, এতে আমি খুশি।’

তার মতে, টাকার পেছনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ছুটে চলা একটি মানসিক ব্যাধি, যা মানুষের জীবনের প্রকৃত অর্থ ও আনন্দকে ম্লান করে দেয়। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের জন্য মানুষের খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যখন কেউ টাকার প্রতি অস্বাভাবিক আসক্তি তৈরি করে, তখন এটি নেশায় পরিণত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডা. এজাজ নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেতা। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এরপর তিনি ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন। সর্বশেষ শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এখনও তিনশ টাকায় রোগী দেখেন ডা. এজাজ

আপডেট সময়ঃ ০৪:০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

সহকর্মীদের কথা শুনে একবার ভিজিট ফি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে ডা. এজাজুল ইসলাম বুঝতে পারলেন এত অর্থ ব্যয় করা রোগীদের পক্ষে সম্ভব না। ফিরে গেলেন সেই ৩০০ টাকা ভিজিটে। সম্প্রতি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতা জানিয়েছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন ভিজিটের অর্থ বাড়াবেন না।

বর্তমানে ঢাকার মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন ডা. এজাজ। তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ আখ্যা দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশো’তে এসে তিনি ভিজিটের বিষয়টি জানান।

ডা. এজাজ সেদিন শুনিয়েছেন ৩০০ টাকা ভিজিটে ফেরার গল্প, ‘ঢাকা মেডিকেলে আসার পর সেখানকার স্টাফরা আমাকে বললেন, স্যার রোগী দেখতে যে ফি নেন, সেটা খুবই সামান্য। আপনার ভিজিট ফি বাড়ানো উচিত। তাদের কথায় ৩০০ টাকা থেকে ফি ৫০০ টাকা করলাম। দুদিন ৫০০ ফি নেওয়ার পর দেখলাম, অনেক রোগী এই খরচ বহন করতে পারছেন না। পরে আমি আবার ৩০০ টাকা ফি নেয়া শুরু করি। সবাইকে বলে দিই যতদিন বাঁচবো ৩০০ টাকা ফি’তে রোগী দেখবো। আসলে জীবনে বাঁচতে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা দিয়েছেন, এতে আমি খুশি।’

তার মতে, টাকার পেছনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ছুটে চলা একটি মানসিক ব্যাধি, যা মানুষের জীবনের প্রকৃত অর্থ ও আনন্দকে ম্লান করে দেয়। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের জন্য মানুষের খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যখন কেউ টাকার প্রতি অস্বাভাবিক আসক্তি তৈরি করে, তখন এটি নেশায় পরিণত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডা. এজাজ নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেতা। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মাধ্যমে তার নাটকে আগমন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এরপর তিনি ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ‘তারকাঁটা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন। সর্বশেষ শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন