০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উত্তরে কনকনে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত

ঢাকা অফিস:
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে।

উত্তরে কনকনে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত

দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। বছরের প্রথম দিনে বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো না থাকায় এবং উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

দিনাজপুর : দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ক্রমেই কমছে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন বছরের প্রথম দিনে বুধবার এটিই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তিনি বলেন, বুধবার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ ডিগ্রি, নওগাঁওয়ের বদলগাছিতে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি, রংপুরে ১৩ ডিগ্রি ও বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত সূর্য দেখা না যাওয়ায় এবং দিনভর উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এদিন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জবুথবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমেছে দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র ঠান্ডায় অতিদরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

পঞ্চগড় : তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৯টায় এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলায় সরকারিভাবে ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ১০ হাজার পিস কম্বল পাওয়া গেছে, যা শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

বগুড়া : বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ ছাড়াও বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্ট পাচ্ছেন। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বগুড়ার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি হলেও দেশের অন্যান্য স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বগুড়া আবহওয়া অফিসের ইনচার্জ সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ বিকাল ৩টায় ২০ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

শেরপুর : কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যন্ত শেরপুরের জনজীবন। শীতের মধ্যেই ভোরে শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে।  কয়েকদিন ধরে মধ্যরাতে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে কুয়াশা।  কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে সকালে ও রাতের বেলায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। বিশেষ করে জেলার নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ও সীমান্তের পাহাড়ি এলাকার মানুষের শীতে কষ্ট হচ্ছে বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উত্তরে কনকনে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। বছরের প্রথম দিনে বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলো না থাকায় এবং উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

দিনাজপুর : দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ক্রমেই কমছে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন বছরের প্রথম দিনে বুধবার এটিই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তিনি বলেন, বুধবার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ ডিগ্রি, নওগাঁওয়ের বদলগাছিতে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি, রংপুরে ১৩ ডিগ্রি ও বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত সূর্য দেখা না যাওয়ায় এবং দিনভর উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এদিন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জবুথবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমেছে দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র ঠান্ডায় অতিদরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

পঞ্চগড় : তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৯টায় এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলায় সরকারিভাবে ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ১০ হাজার পিস কম্বল পাওয়া গেছে, যা শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

বগুড়া : বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ ছাড়াও বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্ট পাচ্ছেন। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বগুড়ার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি হলেও দেশের অন্যান্য স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বগুড়া আবহওয়া অফিসের ইনচার্জ সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ বিকাল ৩টায় ২০ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

শেরপুর : কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যন্ত শেরপুরের জনজীবন। শীতের মধ্যেই ভোরে শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে।  কয়েকদিন ধরে মধ্যরাতে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে কুয়াশা।  কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে সকালে ও রাতের বেলায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। বিশেষ করে জেলার নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ও সীমান্তের পাহাড়ি এলাকার মানুষের শীতে কষ্ট হচ্ছে বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন