অপরাধীদের যারা সেফ এক্সিট দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

- আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে যারা ‘সেফ এক্সিট’ দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সাথে যারা আমাদের নিরীহ পুলিশকে বিরোধী মত দমনে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে তাদেরও সামনে আনতে হবে।
ভারতের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়। এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে। ভারত চেয়েছে সংখ্যলঘুদের উসকে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা ভারতের ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সাথে আর কোনো সমঝোতার রাজনীতি চলবে না। আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুন নয়। হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি। গণজমায়েতের আয়োজন করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে নির্বিচারে গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা এই সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা আমাদের পুলিশকে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে এবং ফ্যাসিবাদীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছে, তাদের পক্ষে লিখেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরো বলেন, ১৯৭১ সালকে পুঁজি করে যাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না করে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। ক্ষমতায় যাবার আশায় যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। যারা বিচারের আগেই আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির মাঠে আনতে চান, তাদের শহীদের রক্তের উপর দিয়ে যেতে হবে।
গণজমায়েতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, একজন ফ্যাসিবাদী শাসক কতটা স্বৈরাচারী হতে পারেন তা গত ১৫-১৬ বছরে দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। শেখ হাসিনা জননেত্রী ও গণনেত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন জনগণের গণশত্রু।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের কাঁধে ভর করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। আমরা আর কোনো ফ্যাসিবাদের চেহারা দেখতে চাই না। আমরা ১৮ কোটি জনগণের মুখে হাসি দেখতে চাই।
এসময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিচারের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র শামান্তা শারমিন বলেন, বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে নিম্নস্তর পর্যন্ত যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।